দেশে অনেক তরুন আছে যারা হতাশায় ভোগে কর্মক্ষেত্রের কারণে। তরুন হলো দেশের সম্পদ। যুগে যুগে তরুণরাই পৃথিবীতে রচনা করেছে ভালোবাসার স্বর্গ। তবে দেশে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান।

এমন সঙ্কটে অল্প বয়সেই সফল হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা ফয়সাল আল নোমান। তিনি একজন বাংলাদেশী গিটারিস্ট, সঙ্গীত শিল্পী, উদ্যোক্তা, ডিজিটাল মার্কেটার ও লেখক। নিজেকে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে দেশজুড়ে মেলে ধরেছেন।

‘ডেইলি কলম কথার’ বিশেষ এর সাক্ষাতকারে উনি বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের সন্তান। ফয়সাল আল নোমান একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সফলতার মুখ দেখেছেন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সময়ে।

শূন্য থেকে শুরু করে, প্রতিকূল পথ ধরে এই তরুণ এবং উদীয়মান ব্যক্তি সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে, কঠোর পরিশ্রম ও সত্যনিষ্ঠার সাথে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন আজ। পাশাপাশি ফয়সাল আল নোমান সর্বদা অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন দিন রাত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ডিএসটি গ্রুপ / বিগ ম্যান ফাউন্ডেশন চালু করেন বলে ‘দেইলি কলম কথা’কে জানান তিনি।

রুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সবসময়ই অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। করোনাকালীন সময় এবং তার আগেও দেশের সাধারণ জনগণ যখন ঘরবন্দী অবস্থায় তখন তার নিজস্ব অর্থায়নে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এবং সিলেট (সুনামগঞ্জ) শহরে দুই হাজার পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

এছাড়া সুনামগঞ্জ শহরের এলাকার মানুষ যখন জলাবদ্ধতার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছিলেন না ঠিক সেই সময়ে সুনামগঞ্জ শহরের এলাকার মানুষের পাশে শুভেচ্ছা দূত হিসাবে হাজির হন ফয়সাল আল নোমান এবং তার সংগঠন। দুই হাজার পরিবারের মাঝে নিজ হাতে তুলে দেন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও খাদ্যসামগ্রী।

তিনি এইগুলো পাশাপাশি সংগীত চর্চা করেন, স্পটিফাই, ইউটিউব, গুগলে থাকে শিল্পী হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছে। তার কঠোর পরিশ্রম দিয়ে তিনি বহু তরুণকে স্বল্প সময়ে তাদের নিজ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। অনেকের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে সহায়তা করেছেন।

দেশের তরুণ প্রজন্ম যখন মাসিক উপার্জন নিয়ে অব্যাহতভাবে চাকরির নিরাপত্তা অর্জনের জন্য কঠোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, তখন ফয়সাল আল নোমান উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে সম্মুখে অগ্রসর হয়ে সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও সহজতর করে চলেছেন।

তিনি ভিন্নধারার দৃষ্টিভঙ্গি ও বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করছেন এবং একটি শক্তিশালী তথ্য কাঠামো তৈরি করে তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের নিজ ক্ষমতায় সাফল্যের পথ দেখিয়ে চলেছেন। ফয়সাল আল নোমান সর্বদা জনসাধারণকে সাহায্য করতে চেয়েছেন, দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করতে এবং আর্থ-সামাজিক প্ল্যাটফর্মের উন্নয়নে অবদান রাখতে চেয়েছেন।

ফয়সাল আল নোমান ‘ডেইলি কলম কথা’কে বলেন, আমি সবাইকে দেখাতে চেয়েছিলাম, পথ যতই ভঙ্গুর হোক না কেন বা পরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেন, আমাদের সবার শিখতে হবে তা কীভাবে অতিক্রম করতে হয়। আসল বিজয়ীরা হলো তারাই যারা কখনই হার মানে না এবং অবিরাম প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে উদ্যোক্তা তৈরির বিকল্প নেই। আগামীর বাংলাদেশ তরুণ উদ্যোক্তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই দেশ ও জাতির উন্নয়নে তার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। তিনি সবসময়ই আশাবাদী। তার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাসী তিনি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের ওপর দোষারোপ না করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। দেশের বোঝায় পরিণত না হয়ে নিজেকে দেশের অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদে পরিণত করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকেই প্রমাণ করতে হবে তারা দেশের অভিশাপ নয়; বরং রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ও দক্ষ সম্পদ।